ত্রিশ আমার সে’দিন হলো – যেদিন আমি নিজেকে দেখে বুঝতে পারলাম; এও একটা মানুষ; এরও একটু তবে শোনা যাক কথা। আমি বুঝতে পারলাম অর্থহীন বেঁচে থাকা আর চূড়ান্ত অর্থময় মরে যাওয়ার কোনোটাই কোনো সমাধান নয়- আসলে কোনও কিছুই কোনও সমাধান নয়!
আমি বুঝতে পারলাম – ভালোবাসা প্রেম; এসব কমে যায় – কমতে হবে কমতেই হবে- যেমন কমে সময়; আয়ু।
আমি একটা কচ্ছপ হয়ে সমুদ্রের তীরে অনেক গভীর রাত্রে মাইলের পর মাইল ভেসে বেড়াতে চেয়েছি, না হয় আমার ছোট্ট পা গুলো মেলে হেঁটে বেড়াতে ইচ্ছে করছিলো – ফেনীল মোহনায়।
যার হৃদয় শুদ্ধ, পবিত্র, কখনো ভাঙে নি- লাগে নি কোনও নখের আঁচড় – তার আস্ত হৃদয়টাকেও ভেঙে দাও তুমি! ভয় পেও না! হৃদয়ের মতন এমন আর কি ভাঙে নিখুঁত! বাতাস কে আমি অভিশাপ দেয়া ছেড়ে দিয়েছি; আমি এমন বিশ্ব নাগরিক; বিবিসি রয়টার্স আল-জাজিরা কেউ রাখেনি আমার খবর।
কেউ কোনো অপরাধ করে নি কভু, সব্বাই কেবল একটু আধটু বেসেছে ভালো;
ত্রিশ বছর বয়সে – এই যে প্রেমের কবিতা লিখতে এসে খেয়াল বন্দিশে লিখে ফেলি জীবনের গান।
আমি চাই যুদ্ধ তবুও হলেও বা হোক – ভালোবাসা যেন কখনও কারও না হয়।
আমি বুঝেছি পুরো অখণ্ড
নিহিলিজম
স্টোইসিজম
ওশো-ইজম।
আমি চিনতে ও বুঝতে পেরেছি সমগ্রটা-
মার্কাস অরেলিয়াস
এপিকটেটাস
ব্যাকেট কামুস, স্ব-অস্তিত্ব; আর ব্যক্তিগত দ্বিজাতি তত্ত্ব।
আমি শিখেছি ও আত্মস্থ করেছি
থিউরি অফ এভ্রিথিং
মিথ অফ সিসিফাস
গ্রাভিটি তত্ত্ব
এনট্রপি
কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট।
তারপর আমি নিজের মধ্যেই দেখলাম অসহায় কি এক বিশ্ব ঘুরে মরছে –
আহা কী জীবন! আহা প্রেম! আহা জল! আহা সন্ধ্যা! আহা শব্দ!
আর বয়স- আহা ত্রিশ!
আমি মনে মনে চলে গিয়েছি এন্টার্কটিকা আরেক পেঙ্গুইনের কাছে
তবুও আমার ভালো লাগে নি কো;
আমার স্মরণে আমি নিজেই এক মিনিট চুপ থেকে শোক প্রকাশ করছি,
নিজের নিষ্পাপ চেহারা দেখে ভুলে গিয়েছি আমার ভেতরেরটা আরও বেশি নিষ্পাপ!
ইবাদত তওবা – ইশক-এ-জান; আমি এনেছি ঈমান আমার স্ব-অস্তিত্বে।
আমি আর প্রেমে পড়ি নাকো আর বাসি না কো অমন ভালো –
তবুও আমি বাসিয়াছি এই ভালো – এই যে বাসাবাসি – বাঁচাবাচি।
আমি প্রেয়সীর হৃদয়ে; প্রেমের পরে – পাপের পরে- প্রিয়ার হৃদয়ে ধারণ করা কবেকার কবিতার লাইন!
আমি হৃদয়ে ধারণ করি যুগপৎ -চূড়ান্ত অসংগতি আর সর্বনাশা প্রেম।
——–
কবিতাঃ ত্রিশ বছর বয়সে
জাহিদ অনিক
#journalofjahid #জার্নালঅফজাহিদ