ধরো,
তোমার জানালায় ধরেছে ফুল –
আফটারনুন মিস; বলেই উড়ে গেছে কাঁপাকাঁপা চড়ুই।
অনেক দূর থেকে বেজে উঠছে চার্চবেল
পোলিশ করা কাঠে খুব ভদ্রস্থঃ টোকা দিয়ে-
সম্ভ্রান্ত, মার্জিত গাউন পরা লেডি গ্লাভস হাতে মগ কফি রেখে গেছে টেবিলে।
চুপচাপ রাস্তা-
একজন বৃদ্ধা হেঁটে যাচ্ছে সাথে যাচ্ছে তার কুকুর
একজন যাচ্ছে গাড়ি করে, দুইজন পায়ে হেঁটে-
কেউ উত্তরে, কেউ দক্ষিণে-
কেউবা পূর্ব থেকে উত্তরে।
যাচ্ছে—সবাই যাচ্ছে, কেউ থেমে থাকছে না;
শুধু কারও কোনো তাড়াহুড়ো নেই- সময়ের টান নেই।
গ্যারাজে এসে ভিড়েছে গাড়ি-
দ্রুত অফ হয়ে গেল ইনগিশন সুইচ-
পর পর ছয়টা হলুদ বাতি জ্বলে উঠলো পোর্চে-
প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে ক্রমশ: উপরে উঠছে জেন্টেল বুটের শব্দ।
দরজার ঠিক সামনে এসে দাঁড়ালেন জেন্টলম্যান-
দ্রুত কিছু নিঃশ্বাস নিলেন-
ফরাসী কায়দায় অনুমতি চাইলেন ভেতরে আসবার।
ধরো,
এইমাত্র তুমি শেষ করলে ইস্তাম্বুলের কফি-
আধশোয়া চুল খুলে মনে মনে পড়ছ বাইবেল;
প্রার্থনা করছ যীশু এসে হাত রাখুক কপালে-
দরজার ওপাশ থেকে ভদ্রলোক ঠিক তক্ষুনি
জ্যাকেটের পকেট থেকে বের করলেন কিছু শীত আর কুয়াশা; রাখলেন কার্নিশের পাশে।
দেয়ালের শীত লাগতে শুরু করলো-
ক্যালেন্ডারের বারোটা মাস ফিসফিস করতে থাকলো-
অক্টোবর গলে গলে যেতে লাগতো, নভেম্বর জমে জমে বরফ হয়ে গেল,
দেয়াল ঘড়ির কাটা আটকে গেল ঠিক সাড়ে ছ`টায়!
তুমি তাকালে-
ঘুরে ফিরলে-
আলো হাতে নিলে-
কাউকে খুঁজলে, এবং পেলে না।
একা একা দেখছ এদিক-ওদিক;
ঠিক তক্ষুনি অক্টোবর আর নভেম্বরের মাঝখান থেকে কেউ বলে উঠলো,
– শুভ সন্ধ্যা মিস, হ্যাপি উইন্টার!