মনুষ্যঅনুষঙ্গ – জাহিদ অনিক
আমরা মানুষ হয়ে মানুষকে বুঝতে চাই। ইহা সম্ভব না, মানুষ হয়ে কেবল মানুষকে অনুমান করতে পারা যায়। একজন মানুষ কোনদিন পারবে না অন্য একটা মানুষকে পুরোপুরি বুঝতে। বুঝতে পারার কথা না। যদি কেউ দাবী করে যে সে অন্য একজন মানুষকে শতভাগ বুঝতে পেরেছে, হয় সে মিথ্যে বলছে অথবা সে মানুষের পর্যায়ে আর নেই, সে হয়ত দেবতা বা দেবী হয়ে গেছে।
মানুষ যখন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষকে বুঝতে যায়, তখন যে সমস্যাটা হয় সেটা মূলত এমন যে-
যখন সে ঐ মানুষটাকে বুঝতে পারে না, তখন সে ম্যালফাংশন করে। মেশিন যেমন কোনও কোড বা প্রোগ্রাম বুঝতে না পারলে বা প্রসেস করতে না পারলে সে হ্যাং হয়ে যায়। মানুষের ক্ষেত্রে যেটা হয়, সে যখন এক সমুদ্র আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে কাউকে বুঝতে চায়, কিন্তু স্বভাবতই যেহেতু সে নিজেও মানুষ তাই বুঝতে পারে না, বুঝতে না পেরে সে কিছুটা আটকে যায়, হ্যাং হয়ে যায়, ম্যালফাংশন হয়।
মানুষ যেহেতু যন্ত্র না, তাই মানুষ ম্যালফাংশন করলে সে ব্যথা পায়, কষ্ট পায়, কান্না করে। ভালোদিক হলো, মানুষ নিজেই আবার নিজেকে রি-প্রোগ্রাম করে ম্যালফাংশন ঠিক করে নিতে পারে। মানুষের ব্রেইন এই কাজে বেশ তুখোড় দক্ষ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪