কত কথা বলি নি তোমায় ঈশ্বর – নিষ্পাপ তুমি স্রষ্ঠা – বলিনি তোমায় আমার শত সহস্র পাপ। প্রথম প্রেমিকার মতন আমার হৃদয়ে তুমি ঈমান, আমার কমল হৃদয়ে তুমি আলতো প্রকোষ্ঠ; তাই বলা হয়নি প্রভু, হে যিশু তোমায় আমার গ্লানি আর এক সমুদ্র একাকীত্বের কাহিনী।
তোমাকে যে জেনেছি নিজের চেয়েও কোমল- তাই ঠিক বলা হয়ে ওঠেনি তোমায় আমার নিজের রূঢ়তা, কিভাবে নিজেকে করেছি নিদারুণ শাসন; কখনোই বলা হবে না তোমায় আমার সে পাশবিক ঈশ্বরত্ব।
বলা হবে না তোমায় – আমার সে আরেক মৃত্যু আর নতুন জন্ম।
আমাকে ভুলে যেতে হয়েছে পরিচিত রাস্তা, মুছে ফেলে নিশ্চিহ্ন করতে হয়েছে হাতের আয়ুরেখা – আমি শুদ্ধ আজ যে মানুষ; এ মনুষ্যত্ব শুধুই আমার; দেখে যাও নেই কোনও প্রেম এখানে।
হৃদপিন্ডের সকল মাংসপেশিকে আদেশ দিয়েছি ভুলে যেতে তোমার সকল চিহ্ন- ভুলে যেতে হয়েছে নিঃশ্বাসের শব্দ।
নদী শাসনের মতন – অলিন্দ নিলয় রক্তের গতিপথ বদলে আবার টেনে নিতে শিখেছে শুদ্ধতম বাতাস।
মানুষ বড় হয়ে ওঠে, একা এক ঘোরের মধ্যে –
সে ভুলে যেতে থাকে নিজের জন্ম-পরিচয় – জাতীয়তা-বোধ; দেশের সীমারেখা ভুলে নিজেকে সে আবিষ্কার করে এক বিশ্ব-নাগরিক। অতঃপর – আবার সে এক একক; একা।
কত জলপথ পাড়ি দিয়ে – অতখানি ক্লান্তির পরে হে পথিক- তোমার পিপাসিত হৃদয়;
যদি বলে – ‘নয় সুখের নয় – চাই বিষের পেয়ালা’ – তবে হোক তাই সই;
হোক সে গরল হোক অমৃত তোমার!! তুমি বড্ড ক্লান্ত পথিক, তোমার সমস্ত আর্জি হোক আজ বিনাবাক্যে কবুল।
আমার এ প্রেম, এ নৈবেদ্য যেন তোমারই বুকে বিঁধে – বিষের বাণ
এই তো জীবন – নিয়ে যদি যাবেই একটা কিছু সে – যাক না তবে সে নিয়ে আমার এ জীবন!