সেদিন একজন হঠাত করেই দৃঢ়প্রত্যয়সূচক গলায় বলে বসলো, ‘অনেকদিন কিছু লিখেন না কেন?’
একটু সময় নিয়ে ভাবলাম, আসলেই লিখি না। এবং লিখি যে না , সেটা এভাবে মনের মধ্যে আসেও নি যে আসলেই লিখি না অনেকদিন।
তাই এই কথাটা একটা ঘাতের মতন লাগলো। এবং ভেবে দেখলাম আমি আসলে প্রবল সুখ আর প্রবল দুঃখে না থাকলে কখনোই কিছু লিখি নাই। আমার লেখা কবিদের মতন না যে ঝরঝর করে আসবে। অনেকদিন কোনও সেরকম মর্মান্তিক দুঃখ পাই নি, হৃদয়ে দাগ কাটার মতন কোনও দুঃখ পাই নি, পাইনি কোনও সুখের অনুভূতিও যা আমাকে দিয়ে কবিতা লেখাবে।
সত্য বলতে যতটা দুঃখ পেলে কবিতা আসে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি দরকার সুখ, সুখের কবিতা লিখতে।
আসলে আমি অনেকদিন লিখি না তা নয়, লিখি, তবে ইদানীং আমি লিখছি সবকিছুই অবজার্বেশনাল সুখ কিংবা অবজার্বেশনাল দুঃখকেন্দ্রিক, আমার নিজের একান্ত ব্যক্তিগত কিছুই নেই। সেজন্যই হয়ত ইদানীংকালের লেখা আমার নিজেরও মন মত হচ্ছে না। এবং যারা আমার মনের মতন, তারাই বলছে ‘অনেকদিন কিছু লিখেন না কেন?’