এই ওয়েবসাইট কেন? – জার্নাল অফ জাহিদ
হাই! আমি জাহিদ। ব্লগ অথবা অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি করি বললে আসলে মস্ত-বড় ভুল হবে। আমি ব্লগে কবিতা বা যা কিছু কবিতার মত সূক্ষ্ম; সেসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করি।
কেন করি? এই প্রশ্নের উত্তর এই মুহূর্ত পর্যন্ত জানা নাই। আসলেই জানি না কবিতা কেন লিখি! কী হয় লিখে!
যাইহোক, এই সাইট-টা মূলত আমার লেখালেখি জমা করে রাখার জন্য। এজন্য আমাকে আবার ডোমেইন হোস্টিং এর জন্য বাৎসরিক একটা ফি দিতে হবে! ভাবতেই অবাক লাগে যে, যেসব চিন্তাভাবনা আমার মস্তিষ্কে আসবে সেগুলোকে পূর্নাঙ্গ রূপ দিতে প্রথমে নিজেকে একটা পরম দুঃখবোধের মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তারপর আবার সেসব লেখালেখিকে অনলাইনে জমা করে রাখতে বছর বছর টাকাও দিতে হবে!
কাজেই যারা বলেন যে, লেখালেখি তে কোনও কষ্ট নাই, প্যারা নাই; ঠিক না।
এখন প্রশ্ন হইল, আমি তো এসব লেখালেখি ফেসবুকে অথবা পাবলিক ব্লগেও করতে পারি ( যেমন, সামহোয়্যারইন ব্লগ); তা না করে এইখানে কেন?
এর উত্তর হিসেবে আমি নিজেকে নিজে যা বুঝাইছি সেটা হলো এই যে- ধীরে ধীরে ফেসবুক থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেব। না না, এইটা এমন কোনও মহৎ কাজ না। এমনও না যে আমি একলাই এমনটা ভাবতেছি যে আর থাকব না ফেসবুকে। আপনি একটু চিন্তা করলে দেখবেন যে, আমার ধারনা আগামী দুই চার দশ বছরের মধ্যে মানুষ নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে নেবে। ইট ইজ ঠু মাচ!
যাইহোক, পরের কথা, আমার প্লান কি এই ওয়েব সাইট নিয়া?
কোনও প্লান নাই, যেসব কথা ফেসবুকে লেখা যায় না, পাবলিক ব্লগেও লেখা যায় না; আবার কাউরে না বলেও থাকা যায় না- সেসব অকথ্য কথাই লিখব এই ব্লগে। কারণ, এইটা আমার ব্লগ; আমি যা ইচ্ছা লিখতে পারি।
আর আমি জানি না কে কে এই সাইট ভিজিট করবে বা করবে না। তাই যা যা লিখতেছি এইটা ধরেই নিচ্ছি যে কেউ পড়বে না। তাই মূলত লেখাগুলো বা কথাগুলো – যা কাউকে লিখতে/বলতে পারতাম না, সেগুলো কাউকে বললাম- আবার বললাম না!
ওহ আরেকটা কথা, আমি এই সাইট কোনও দিন মনিটাইজ করব না। টাকা পয়সা এই নিজস্ব জার্নাল থেকে কামানোর কোনও ইচ্ছা নাই। নিজের একটা কবিতার লাইনের মধ্যে একটা বিজ্ঞাপন ঢুকে গেছে এটা ভাবতেও পারতেছি না। অতএব এই সাইট এর SEO,থিম, কাস্টমাইজেশন, ইত্যাদি নিয়ে কোনও প্লান অথবা প্যারা নাই।
আপনার জীবন থেকে কিছু সময় এখানে কাটিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
মানুষ মূলত একলা প্রাণী; যে ভাবে যে একদিন কেউ এসে তাকে আবিষ্কার করবে। এই যে আপনি এখানে এসে কিছু সময় কাটিয়ে গেলেন- আপনি মূলত আমাকেই আবিষ্কার করলেন।
এতে আপনার অভ্যন্তরে আমার একাকীত্ব কিছুটা কমলো বটে!
ধন্যবাদ, আবার আসবেন।