ঘুমের মধ্যে আমাকে জাপটে ধরেছে সেইসব অস্ফুট শব্দেরা-
যাদের আমি আধাআধি ভেবে, অর্ধেক ভালোবেসে
পুরপুরি উচ্চারণ আর বানান না করে-
অথবা
পরে সঠিক বানানে, শুদ্ধ ভাবে লিখব বলে
আর লিখতে পারি নি কখনো।
আমি মানুষ; ফুল হয়ে নয়-
মানুষ হয়েই চেয়েছি মানুষের দুঃখকে দেখবার।
অযুত সহস্র বেমানান শব্দকে ঠেসে ধরে
যুতসই কবিতার মধ্যে ঠেলে দিয়ে হলেও –
চেয়েছি আমার প্রিয়জনের ব্যথাদের আমি বুঝতে শিখি।
শব্দ, কথা, কাব্য, কবিতা – আমার কোনও প্রেমিকা নয়;
আমি চাই হৃদয় আমার সহজ হোক,
সহজ পথে, সহজ চোখে সহজ মানুষ- সহজ ভাবনায়;
একটা মানুষ, দুইটা মানুষ সহজ কথায়, সহজ ব্যথায়,
সহজ জীবন, সহজ মরণ- সহজ বেহেশত;
খুব সহজে, সহজ ভেবে মানুষ থাকুক মানুষের পিঠাপিঠি।
আমি মানুষের কষ্টকে বুঝতে গিয়ে দেখেছি –
তাদের কষ্টে তারা নিজেরা অতটা বিচলিত নয়;
যতটা তারা ভাবে আমায় নিয়ে
আমি কেমন কষ্ট পাব তাদের সকল কষ্টে’!
তারা জানে আমার কাছে আছে যথোপযুক্ত শব্দ- যা আমাকে
দুঃখ দেবে, দুঃখ দেবে।
আমার শব্দ, ভাবনা, বিন্যাস যাতনা-
আমার থেকে নিয়ে গেছে সহজ মানুষ হয়ে ভাবার অধিকার-
আমাকে বারণ করেছে সহজ মানুষ হয়ে ভাবতে সহজ ব্যথা;
আমার শব্দ, কাব্য, ভাব-
আমাকে দিয়েছে কেবলই অভাব, কেবলই অভাব।
যদি ভাবতে বসি কবিত্ব আমার থেকে কী কী নিয়ে গেছে;
সে আমি পারব না করতে শোধ কোনও কবিতার দামেই।