১)
আমি আমার সেই বন্ধু দিব্যেন্দু, যাকে দেখলে আমার মায়া হয়,
মনে হয় ইশ! যদি ওর জন্য কিছু করতে পারতাম!
২)
মানুষ জল হয়ে যায়, যখন জলের স্পর্শ পায়-
আগুন তবু হয় না মানুষ; যদিওবা পোড়ে সে রোজ
৩)
গ্রন্থ যে ধর্মেরই হোক, যে ভাব নিয়ে পড়ছ তুমি- সে ভাবই গ্রন্থের ধর্ম।
৪)
যুগপৎ স্তুতি আর ভৎসনা তোমায়-
আমাকে ভালো কেন বাসো?
বাসো যখন-
এত কম কেন বাসো?
৫)
মেঘের কথা বলে তোমাকে বৃষ্টির হাতে তুলে দিলেম,
বললেম; ভালোবাসো বলো?
নয়ত ভালোবাসি বলে-
তোমাকে জমের হাতে তুলে দেব।।
৬)
আজীবন খুঁজে দুঃখের সমার্থক শব্দ,
দেখেছি;
আমাদের নিঃশ্বাসেই বের হয় পরিশুদ্ধ শোকবার্তা
৭)
কখনো কখনো নিজেকে পৃথিবীর মতন মনে হয়
যেন এই সৌরমণ্ডলে কেবল আমিই একমাত্র বসবাসের যোগ্য;
মানুষের পদচারণ আর জীবনের অস্তিত্ব একমাত্র আমার অভ্যন্তরেই।
বাকী সব তুমি, তোমরা: বুধ, শনি, মঙ্গল অথবা বৃহস্পতি।
৮)
তোমার দুঃখ যদি আমার কবিতায় দেখতে না পাও,
যদি দেখতে না পাও আমি লিখতে শিখেছি তোমার পূর্বজন্মের কথা,
তোমার পিতা, পিতামহ, প্র-পিতামহ আর তোমার ভ্রূণের কথা,
তাহলে সে কবিতা আমি লিখিই নি।
৯)
কখনো কখনো কেবলমাত্র একটা ‘লাইন’ বা একটা ‘শব্দ’ পছন্দ হয়েছে বলে
কিনে নিয়েছো গোটা অখণ্ড রচনাসমগ্র